সুইশ ব্যাঙ্কে জমা থাকা ভারতীয় টাকা ও কালো টাকার বিষয়ে আজ দেশ জুড়ে যে আলোচনা চলছে এই বিষয়ে আমিই প্রথম দৃষ্টি আকর্ষন করি। গত ২৪ই ফেব্রুয়ারি,২০০৯ লোকসভায় Interim Budget (2009-10)’এর আলোচনায় আমি এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করি। ওইদিনের আলোচনায় আমি আমি যা যা বলেছিলাম সেগুলিই এই ব্লগে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
এই Interim Budget’এর কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল এটা সত্য, কিন্তু তা হলেও আরো অনেক ভালভাবে এই বাজেটকে করার সুযোগ ছিল কি না সেটা দেখে নেওয়া জরুরী ছিল বলে আমার ধারণা। গত কয়েক বছরে যদি আমরা দেখি, যেটা আমরা করেছি আসলে-স্বাধীনতার পর আমরা অনেকগুলো বছর পার হলাম, ৬০/৬১ বছর হয়ে গেল, কিন্তু দেশের মধ্যে দুটো দেশ…তার ত ক্রমশ ক্রমশ বিভক্তি বাড়ছে। এটা ঠিক যে ইন্ডিয়া ইস শাইনিং, আবার এটাও ঠিক যে ভারত ইস সাফারিং। একটা দেশের মধ্যে দুটো দেশের এই যে ফারাক, তা একটা ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক ইঙ্গিতের দিকে আমাদের আস্তে আস্তে নিয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক যে আমাদের দেশে ৫৫ জন বিলিওনেয়ার আছেন, তারা পৃথিবীর অন্যদের সঙ্গে তুলনীয়, এটাও ঠিক যে আমাদের দেশে গত একটা বছরে ২৩০০০ মিলিওনেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে, সেটা একটা অংশ। কিন্তু বিপরীতে, ৭৭% জনসংখ্যা, অর্জুন সেনগুপ্ত কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদের দৈনিক আয় কুড়ি টাকার নিচে, কি হবে তাদের ভবিষ্যত? অসঙ্গঠিত শিল্পের বিল গৃহিত হয়েছে, কিন্তু আমরা কেউ এখনো জানি না সেই বিলের সুপারিশ কি কি ফলপ্রসু করা হবে। কৃষক আত্মহত্যা বাড়ছেই, সেটা কিন্তু কমছে না এখনো। অনেক ঋণদান প্রকল্প হয়েছে, বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সমাধানটা কোথায়? অথচ ১৮% জি.ডি.পি চাষের উপর নির্ভর করে। ফলে ক্রমশ এই যে সেক্টরটা আমাদের দেশের সঙ্কটকে যেভাবে বাড়াচ্ছে, সেই সঙ্কট থেকে বেরোনোর জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব যথেষ্ট। এটা কিন্তু স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এবং ক্রমশ ক্রমশ বাড়ছে। মুল্যবৃদ্ধি ভয়ংকর...মুদ্রাস্ফিতি খানিকটা কমে এসেছে বলা হচ্ছে, ঠিক, কিন্তু তাহলে দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধির হার, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য, সেটার বৃদ্ধির হার তো কমছে না। একটা বড় অংশের মানুষের ধরাছোয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে জিনিসের দাম। ফলভোগ করছেন মূলত তলার দিককার মানুষেরা। এটা আমাদের খেয়ালের মধ্যে নিয়ে আসা দরকার। বিপিএল-এর প্যারামিটারটা কিন্তু এখনো স্পষ্ট নয়। বিপিএল যে প্যারামিটারে করা হচ্ছে তা থেকে আমরা কেউ-ই বলতে পারব না যে সত্যি সত্যি আমরা প্যারামিটার অনুযায়ী-ই কাজ করতে পারছি। কোথাও এপিএল বিপিএল হয়ে যাচ্ছে, কোথাও বিপিএল তার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবং এটা একটা গোটা দেশের সর্বত্র একটা বড় সামাজিক অস্থিরতা তৈরির দিকে গোটা দেশকে নিয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় কিভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা আমরা করব সেদিকে আমাদের এবার নজর দেওয়া উচিত। আসল কথাটা হল রাজনৈতিক ইচ্ছা।
সুইশ ব্যাঙ্ক সংস্থার ২০০৬ এর রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে পাঁচটা দেশের টাকা ওখানে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে, তাদের মধ্যে শীর্ষে আছে ভারত, এবং তার বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ পঞ্চম দেশের তুলনায় বহুগুণ, প্রায় ১৫ গুণ। এবং এই ১৫৪৬ বিলিয়ন ডলার, যেটার ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য হয় প্রায় ৭০ লক্ষ কোটি টাকা, সেটা আমাদের যা বৈদেশিক ঋণ আছে তার ১২-১৩ গুণ। কোথা থেকে এই টাকাটা আসছে? কিভাবে এটাকে রাখা হচ্ছে? কে রাখছে? দেশের সম্পদের সাথে এটাকে যুক্ত করার কি সুযোগ আছে? আমরা যদি সেটা না ভাবি, আমরা আসলে এক চোখ দিয়ে দেখব। সমস্যার সমাধানের দিকে যেতে পারব না। কালো টাকার প্রশ্নটাও এক-ই রকম প্রাসঙ্গিক। এটা একটা সমান্তরাল অর্থনীতি। প্রতিবার আলোচিত হয়, প্রতিবার আমরা সবাই উদবেগ প্রকাশ করি, সারা সংসদ উদবেগ প্রকাশ করে, কিন্তু সমাধানের কোনও পথ বেরয় না। কিভাবে আমরা এর থেকে বেরিয়ে আসব, এই মনোভাব নিয়ে আমরা যদি না চলি, আমার ধারণা, তাহলে আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে, যে ক্ষতির মুখোমুখি কিন্তু আমরা দাঁড়িয়ে আছি। দেশ মানে দেশের আম-আদমি, দেশের বেশীরভাগ অংশের মানুষ, সেই মানুষের জন্য সঠিক পরিকল্পনা রুপায়ণে তাহলে অসুবিধা দেখা দেবে।
আমরা অনেকদিন এই কথাটা বলছিলাম, আমাদের যে বৃদ্ধি নিয়ে এত গলা ফাটানো হয়, সেটা কোনো জীবিকা তৈরি করে না। বৃদ্ধির হার ভালই হচ্ছে, কিন্তু মানুষের হাতে কাজ নেই! গত ৩ মাসে বলা হচ্ছে ৫ লক্ষ কর্মচ্যুতি হয়েছে। অবশ্যই এটা একটা অসম্পুর্ণ রিপোর্ট। আসল সংখ্যাটা এর থেকেও অনেক বেশি। কিন্তু আর কত কর্মচ্যুতি হবে? কোথায় যাচ্ছে এত কাজ? ঠেকাব কি করে এত কর্মচ্যুতি? এই ভাবনায় আমাদের একটা কোথাও দূর্বলতা আছে। মেইন সেক্টর হচ্ছে কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্প ইত্যাদি। আপনি যদি দেখেন, ক্ষুদ্র শিল্পে ব্যাঙ্ক ঋণ সহজে পাওয়া যায় না। যদি পাওয়াও যায়, সুদের হার খুব বেশী। বৃহত ঋণ যারা নেবে, তাদের ক্ষেত্রে সুদের হার কম!! হওয়ার কথা ছিল, ক্ষুদ্র শিল্পে সুদের হার কম হবে। হচ্ছে ঠিক তার উলটো। আমার মনে হয় একটু ভাল করে যদি আমরা না দেখি, এই অবস্থা থেকে আমরা বেরতে পারব না। এক-ই রকম ভাবে, স্বামীনাথন কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে, কৃষকদের ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ৪% এ নামাতে হবে...এখন দাড়িয়ে আছে ৭%-এ। ফলে আমাদের প্রায়োরিটি সেক্টর কে সর্বাগ্রে গুরূত্ত দেবার দৃষ্টিতে কি আমরা আমাদের দেশ, অথবা দেশের বাজেট, অথবা দেশের প্ল্যানিং কে এগিয়ে নিয়ে চলেছি? মনে হয় না। আমি যেটা বলে শেষ করব তা হচ্ছে এই, অন্তত ৪/৫ খানা মেজর সেক্টর আমাদের দেশে আছে, যেমন ‘R & D’, যার থেকে গুরূত্তপূর্ণ আর কিছু হতে পারে না। আমাদের এত বিপুল সম্ভাবনা, শিক্ষা, সেখানে ৬% বাজেট বরাদ্দ আমরা কবে করব? আমাদের গবেষণা ক্ষেত্রে আমরা অন্তত ১% বাজেট বরাদ্দ কবে করব? আমাদের অসঙ্গঠিত ক্ষেত্র, তার জন্য ৩% সহায়ক ব্যাবস্থা, আমরা কবে করব? আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ৫% বরাদ্দ আমরা কবে করব? আমরা কিন্তু ঘোলা জলের মধ্যে রয়েছি। যেভাবে আমাদের চলা উচিত, সেটা আমরা স্পষ্ট করে বলছি না।
আমি শেষ করছি, শুধু একটাই কথা বলার। বহুদিন আগে লালবাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন, “জয় জওয়ান, জয় কিষাণ।“ সবাই আমরা খুশী হয়েছিলাম। তারপরে বহুবছর কেটে গেছে। কৃষকের জয় হয়নি, যুবকের জয় হয়নি। বরং আমাদের মুল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, এবং কৃষকের মুল সমস্যাগুলো এখনো সমাধান করার পথে যাওয়া হচ্ছে না, আমরা ওপরে ওপরে দেখছি, কিন্তু গভীরে দেখছি না। শাইনিং ইন্ডিয়ার কথা ভাবছি, সাফারিং ইন্ডিয়ার কথা ভাবছি না।এটাই হল আমাদের অর্থনীতির মূল ত্রুটি। কিভাবে সেটা কাটানো হবে সে বিষয়ে U.P.A. সরকার কোনো পদক্ষেপ মনোভাবই দেখায়নি। আমরা বামপন্থীরা আশা করব আপনারা আমাদের সমর্থন করে ভবিষ্যতে আমাদের ভাবনাচিন্তার সমর্থক হবেন।
(আমার লোকসভার আলোচনার ভিডিও দেখার জন্য www.sujan.info/video.html দেখুন )
এই Interim Budget’এর কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল এটা সত্য, কিন্তু তা হলেও আরো অনেক ভালভাবে এই বাজেটকে করার সুযোগ ছিল কি না সেটা দেখে নেওয়া জরুরী ছিল বলে আমার ধারণা। গত কয়েক বছরে যদি আমরা দেখি, যেটা আমরা করেছি আসলে-স্বাধীনতার পর আমরা অনেকগুলো বছর পার হলাম, ৬০/৬১ বছর হয়ে গেল, কিন্তু দেশের মধ্যে দুটো দেশ…তার ত ক্রমশ ক্রমশ বিভক্তি বাড়ছে। এটা ঠিক যে ইন্ডিয়া ইস শাইনিং, আবার এটাও ঠিক যে ভারত ইস সাফারিং। একটা দেশের মধ্যে দুটো দেশের এই যে ফারাক, তা একটা ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক ইঙ্গিতের দিকে আমাদের আস্তে আস্তে নিয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক যে আমাদের দেশে ৫৫ জন বিলিওনেয়ার আছেন, তারা পৃথিবীর অন্যদের সঙ্গে তুলনীয়, এটাও ঠিক যে আমাদের দেশে গত একটা বছরে ২৩০০০ মিলিওনেয়ারের সংখ্যা বেড়েছে, সেটা একটা অংশ। কিন্তু বিপরীতে, ৭৭% জনসংখ্যা, অর্জুন সেনগুপ্ত কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদের দৈনিক আয় কুড়ি টাকার নিচে, কি হবে তাদের ভবিষ্যত? অসঙ্গঠিত শিল্পের বিল গৃহিত হয়েছে, কিন্তু আমরা কেউ এখনো জানি না সেই বিলের সুপারিশ কি কি ফলপ্রসু করা হবে। কৃষক আত্মহত্যা বাড়ছেই, সেটা কিন্তু কমছে না এখনো। অনেক ঋণদান প্রকল্প হয়েছে, বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সমাধানটা কোথায়? অথচ ১৮% জি.ডি.পি চাষের উপর নির্ভর করে। ফলে ক্রমশ এই যে সেক্টরটা আমাদের দেশের সঙ্কটকে যেভাবে বাড়াচ্ছে, সেই সঙ্কট থেকে বেরোনোর জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব যথেষ্ট। এটা কিন্তু স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এবং ক্রমশ ক্রমশ বাড়ছে। মুল্যবৃদ্ধি ভয়ংকর...মুদ্রাস্ফিতি খানিকটা কমে এসেছে বলা হচ্ছে, ঠিক, কিন্তু তাহলে দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধির হার, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য, সেটার বৃদ্ধির হার তো কমছে না। একটা বড় অংশের মানুষের ধরাছোয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে জিনিসের দাম। ফলভোগ করছেন মূলত তলার দিককার মানুষেরা। এটা আমাদের খেয়ালের মধ্যে নিয়ে আসা দরকার। বিপিএল-এর প্যারামিটারটা কিন্তু এখনো স্পষ্ট নয়। বিপিএল যে প্যারামিটারে করা হচ্ছে তা থেকে আমরা কেউ-ই বলতে পারব না যে সত্যি সত্যি আমরা প্যারামিটার অনুযায়ী-ই কাজ করতে পারছি। কোথাও এপিএল বিপিএল হয়ে যাচ্ছে, কোথাও বিপিএল তার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এবং এটা একটা গোটা দেশের সর্বত্র একটা বড় সামাজিক অস্থিরতা তৈরির দিকে গোটা দেশকে নিয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয় কিভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা আমরা করব সেদিকে আমাদের এবার নজর দেওয়া উচিত। আসল কথাটা হল রাজনৈতিক ইচ্ছা।
সুইশ ব্যাঙ্ক সংস্থার ২০০৬ এর রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে পাঁচটা দেশের টাকা ওখানে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে, তাদের মধ্যে শীর্ষে আছে ভারত, এবং তার বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ পঞ্চম দেশের তুলনায় বহুগুণ, প্রায় ১৫ গুণ। এবং এই ১৫৪৬ বিলিয়ন ডলার, যেটার ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য হয় প্রায় ৭০ লক্ষ কোটি টাকা, সেটা আমাদের যা বৈদেশিক ঋণ আছে তার ১২-১৩ গুণ। কোথা থেকে এই টাকাটা আসছে? কিভাবে এটাকে রাখা হচ্ছে? কে রাখছে? দেশের সম্পদের সাথে এটাকে যুক্ত করার কি সুযোগ আছে? আমরা যদি সেটা না ভাবি, আমরা আসলে এক চোখ দিয়ে দেখব। সমস্যার সমাধানের দিকে যেতে পারব না। কালো টাকার প্রশ্নটাও এক-ই রকম প্রাসঙ্গিক। এটা একটা সমান্তরাল অর্থনীতি। প্রতিবার আলোচিত হয়, প্রতিবার আমরা সবাই উদবেগ প্রকাশ করি, সারা সংসদ উদবেগ প্রকাশ করে, কিন্তু সমাধানের কোনও পথ বেরয় না। কিভাবে আমরা এর থেকে বেরিয়ে আসব, এই মনোভাব নিয়ে আমরা যদি না চলি, আমার ধারণা, তাহলে আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে, যে ক্ষতির মুখোমুখি কিন্তু আমরা দাঁড়িয়ে আছি। দেশ মানে দেশের আম-আদমি, দেশের বেশীরভাগ অংশের মানুষ, সেই মানুষের জন্য সঠিক পরিকল্পনা রুপায়ণে তাহলে অসুবিধা দেখা দেবে।
আমরা অনেকদিন এই কথাটা বলছিলাম, আমাদের যে বৃদ্ধি নিয়ে এত গলা ফাটানো হয়, সেটা কোনো জীবিকা তৈরি করে না। বৃদ্ধির হার ভালই হচ্ছে, কিন্তু মানুষের হাতে কাজ নেই! গত ৩ মাসে বলা হচ্ছে ৫ লক্ষ কর্মচ্যুতি হয়েছে। অবশ্যই এটা একটা অসম্পুর্ণ রিপোর্ট। আসল সংখ্যাটা এর থেকেও অনেক বেশি। কিন্তু আর কত কর্মচ্যুতি হবে? কোথায় যাচ্ছে এত কাজ? ঠেকাব কি করে এত কর্মচ্যুতি? এই ভাবনায় আমাদের একটা কোথাও দূর্বলতা আছে। মেইন সেক্টর হচ্ছে কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্প ইত্যাদি। আপনি যদি দেখেন, ক্ষুদ্র শিল্পে ব্যাঙ্ক ঋণ সহজে পাওয়া যায় না। যদি পাওয়াও যায়, সুদের হার খুব বেশী। বৃহত ঋণ যারা নেবে, তাদের ক্ষেত্রে সুদের হার কম!! হওয়ার কথা ছিল, ক্ষুদ্র শিল্পে সুদের হার কম হবে। হচ্ছে ঠিক তার উলটো। আমার মনে হয় একটু ভাল করে যদি আমরা না দেখি, এই অবস্থা থেকে আমরা বেরতে পারব না। এক-ই রকম ভাবে, স্বামীনাথন কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে, কৃষকদের ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ৪% এ নামাতে হবে...এখন দাড়িয়ে আছে ৭%-এ। ফলে আমাদের প্রায়োরিটি সেক্টর কে সর্বাগ্রে গুরূত্ত দেবার দৃষ্টিতে কি আমরা আমাদের দেশ, অথবা দেশের বাজেট, অথবা দেশের প্ল্যানিং কে এগিয়ে নিয়ে চলেছি? মনে হয় না। আমি যেটা বলে শেষ করব তা হচ্ছে এই, অন্তত ৪/৫ খানা মেজর সেক্টর আমাদের দেশে আছে, যেমন ‘R & D’, যার থেকে গুরূত্তপূর্ণ আর কিছু হতে পারে না। আমাদের এত বিপুল সম্ভাবনা, শিক্ষা, সেখানে ৬% বাজেট বরাদ্দ আমরা কবে করব? আমাদের গবেষণা ক্ষেত্রে আমরা অন্তত ১% বাজেট বরাদ্দ কবে করব? আমাদের অসঙ্গঠিত ক্ষেত্র, তার জন্য ৩% সহায়ক ব্যাবস্থা, আমরা কবে করব? আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ৫% বরাদ্দ আমরা কবে করব? আমরা কিন্তু ঘোলা জলের মধ্যে রয়েছি। যেভাবে আমাদের চলা উচিত, সেটা আমরা স্পষ্ট করে বলছি না।
আমি শেষ করছি, শুধু একটাই কথা বলার। বহুদিন আগে লালবাহাদুর শাস্ত্রী বলেছিলেন, “জয় জওয়ান, জয় কিষাণ।“ সবাই আমরা খুশী হয়েছিলাম। তারপরে বহুবছর কেটে গেছে। কৃষকের জয় হয়নি, যুবকের জয় হয়নি। বরং আমাদের মুল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, এবং কৃষকের মুল সমস্যাগুলো এখনো সমাধান করার পথে যাওয়া হচ্ছে না, আমরা ওপরে ওপরে দেখছি, কিন্তু গভীরে দেখছি না। শাইনিং ইন্ডিয়ার কথা ভাবছি, সাফারিং ইন্ডিয়ার কথা ভাবছি না।এটাই হল আমাদের অর্থনীতির মূল ত্রুটি। কিভাবে সেটা কাটানো হবে সে বিষয়ে U.P.A. সরকার কোনো পদক্ষেপ মনোভাবই দেখায়নি। আমরা বামপন্থীরা আশা করব আপনারা আমাদের সমর্থন করে ভবিষ্যতে আমাদের ভাবনাচিন্তার সমর্থক হবেন।
(আমার লোকসভার আলোচনার ভিডিও দেখার জন্য www.sujan.info/video.html দেখুন )
Amra Bampanthi chilam achi ebong thakbo.
ReplyDeleteAmar mone hoy apnader ei bisoy guli ke aro besi kore manuser modhe niye jete hobe jate tara bujhte pare ke tader valo chai. Er sathe birodhi netri r netibachok bisoy gulo keo samne niye aste hobe. Gato kal Kalyan Babu Manonio Budhyadeb Babu samparke je kuruchi kar katha bolechen tate Tader nijeder Charitro paras peyeche. Amra khushi je tara dhi re dhire nijeder asol parichor dichee. Er ageo Kalyan babu Nandigram e giye Sudpt. Of Police, East Midnapore samporke ja mantobe kareche ta kono sustho, vadro manuser pakhe kara khub muskil. Amader ei sob kichu ke atikrom kore unnataro des gorte hobu, ja sudhu bamfront er darai fulfil hobe, tai al last bolchi, we.......... overcomne..............
ReplyDeleteApni Ekta khub gurutto purno point tule dhorechen .Swiss Bank Er taka Rakhar jeta sobcheye boro subidhey seta holo ora secrecy dey. oder bank e Web site e dekben Lekha achey
ReplyDelete"What does bank secrecy cover?
Bank secrecy covers all your business relations with the bank.
* It is not limited in time. Bank secrecy protects all contacts with a view to opening an account, even if the account is never actually opened. Similarly, bank secrecy remains in effect once your account is closed."
kotota Maraktok kotha.
black money r bharat e koto achey Seta apnar dewa totho theke jante parchi.Er Sujog ta nicchey India r Billionaire ra.Er biruude apni j kotha Parliament e bolechen tar jonno desh er manus apnar kache kritoggo. Kintu Ei kotha gulo r o besi kore tule dhora dorkar.indian Economist der niye ekta committee toiri kore ei bisal poriman taka r kichu % kibhabe india te ana jete pare seta niye bodhoy bhaba dorkar.
Arijit Ganguly-arijit_ganguly2007@yahoo.co.in
apnar lekha blog ta pore bhalo laglo
ReplyDeleteSabar prathame apnake raktim avinandan janai Swuize Banker issue sabar samne tule dharar janya. Apnar asonter janya sara bangla takie ache, karan apni jader sange larchen tara samagra Bangla take grass karar dak dieche. Karan orai Bamfronter pradhan birodhi shakti. Ami mone kari kono rajnaitik dal noy Banglay pradhan birodhi shakti holo media ar orai bibhinna bhabe uskani die ekta hawoa tuleche ulte dao palte dao. Gramanchaler sahaj saral manush gulike tader fade felar chakranta kareche, tate kichuta safal holeo tader balte habe je apnara ja sidhanta neben dui pakkher katha sune sidhanta nin Karan ek pakkha sune sidhanta kakhono sathik hote parena. tar janya sudhu Anandabazar, Bartaman, pratidin jemon paren temni Ganashakti, Ajkaal tao parun tate dui pakkha sune sathik sidhanta neoa jabe.
ReplyDeleteAccha Sujan'da ei sambad madhyam gulor birudhye Ganatantrik bhabe andolon kara jay na? Jemon dhorun kono jaygar kono ghatana samparke pakkhapatdusta kono khabor likhlo takhon jodi sei jaygar kono sangathan gie sekhankar anchalik daptar ba sngslishta sangbadiker samne gana abosthan jatio kichu kara jai ta hole kemon hoy?
সঞ্জয় গাঁধী কে কেন মরতে হয়েছিল,প্রণব মূখাজীকে কেন রাজীব গাঁধীর সময় কারযভার থেকে জোর কোরে অবসর দিয়ে আবার কিছুদিনের মধ্যেই এক রকম হাতেপায়ে ধরেই দীললি ফিরিয়ে নিয়েযান রাজীবগাঁধী তা বরতমান প্রজনমের অনেকেই জানেন না ,এর পিছনেও আছে ঐ swiss bank এর টাকা। ১৮৮১ তে জনম নেওয়া কংগ্রেসের যে বিপুল পরিমান অরথ সঞ্চিত অছে ঐ bank এ তা যে কোনো শিলপ পতিরও সপনের অতীত।গাঁধী পরিবারের অরথ এ অরথের তুলনায় তেমনকিছু কম নয়। সোনীয়াজী বিবাহিত হয়ে এ দেশে এলেন্ রাজীবজী সাংঘাতিক ভাবে মারা গেলেন । এ ঘটনার পর ছোট ছোট পুতর কন্যা নিয়ে এই জটিল রাজনীতি থেকে দুরে সরে যেতে পারতেন নিজের দেশে ফিে যেতে পারতেন কিনতু তা তিনি করেন নি,না তাকে করতে দেওয়া হয় নি ? কংগ্রেস পরটির তহবিলের এবং গাঁধী পরিবারের অরথ সমপদের swiss চাবিটা যে তখন তাঁর হাতে। এ টাকা অনবে কে ?এরা যখন গরীবদের দুখ্ মোচনের কথা বলে যেটা ঠিক কি খায় না গায়ে মাখে তাই কখনো বোঝবার সুযোগ পায়নি তখন ঐ গাধী পরিবার আর তার দলের জন্য করুনা হয়।আর আননদ হয় সেই গরিবদর কথা ভেবে যারা মারকসবাদী কমিউনিসট পারটির হাতধরে এদের কে চিনে নেওয়ার পেথ পা বাড়িয়েছে ,যেদিন চিনতে পারবে সেদিন ঐ পরিবার আর দলটার কি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।২০১০ এই রাহূলকে বিবাহ করতে হবে এবং সনতান দিতে হবে। এর কারনও ঐ swiss bank এর টাকা।
ReplyDeleteApnar blog dekhlam ... ekhono purota pore uthte parini ... pora hole bhalo kore mantobyo likhbo ... tobe jeta bolbar ta holo .. apnar ei proyash ke sadhubad janai ...
ReplyDeleteHello dear FRIEND SPANDAN
ReplyDeleteMyself Samya Chakravarty , currently a small factory owner , age 31.
I am not directly involved with the TATA project like you , but me and my colleagues were very much involved with this project of TATA from the core of our heart . Because this going to change all of our lives.
We have seen Gurgaon . What wonder could happen with one Maruti Factory . I am sending you some snap shots of Gurgaon of early eighties and today . Its like a dream comes true .
This project is a dream to all of us . Reason is quite simple. I would rather not speak for the cumulative benefits of a huge section , I would just speak about myself . Sounds selfish Huh !! But it’s a truth . One Plat like TATA motors is going to attract at least 20 investors / business houses apart from the ancillary of TMs . Factories will be there . Town ships will be there .Electricity will be required . Transformers will be required . And here comes my business . I manufacture Radiators for both Power and Distribution Transformers . I lost it for now . But that’s not the end I feel.
Whenever I went to any states I used to feel shy , down and depressed . You know why ? The state Maharashtra , Gujrat are industrially much ahead of us currently . I am using this word ‘Currently’ very consciously , because I know that we have got the full potential to be the model state in a very short span of time .
Every where the discussion starts like this , “Kya kiya aap log ? TATA Motors ko SINGUR se bhaga diye ?”
Even I have to hear this kind of comments from Bihar and Orissa also: “Chakravarty ji aap idhar me factory lagalo . Aapke BANGAL me kuch nehi hone wala hai .”
But now I feel Determined.
Our State West Bengal does not belong to these goons. We are rich in culture and cultured politics was there, is here and will be here .
We are determined to wipe out this uncultured , unhealthy and hypocrite alliance of TMC , Cong , Maoist
( I don’t think they can spell Mao Zedong ) , GJM,KLO and Sushil Somaj .
We are feeling stronger each day by the statement of our Hon’ble Chief Minister Sri.Budhadev Bhattacharya that “ TATA motors will come back at Singur, and this time no one can stop us , we will not tolerate the destructive activities of any party” . We believe he will do it . Please go ahead Sir. We are with you .
So friend , stay in touch . Surely we will meet on that day when the first NANO will roll out from yours , mine and all of OURS SINGUR PLANT . We will fight till the end and WE WILL WIN .
Samya Chakravarty
Hello dear FRIEND SPANDAN
ReplyDeleteMyself Samya Chakravarty , currently a small factory owner , age 31.
I am not directly involved with the TATA project like you , but me and my colleagues were very much involved with this project of TATA from the core of our heart . Because this going to change all of our lives.
We have seen Gurgaon . What wonder could happen with one Maruti Factory . I am sending you some snap shots of Gurgaon of early eighties and today . Its like a dream comes true .
This project is a dream to all of us . Reason is quite simple. I would rather not speak for the cumulative benefits of a huge section , I would just speak about myself . Sounds selfish Huh !! But it’s a truth . One Plat like TATA motors is going to attract at least 20 investors / business houses apart from the ancillary of TMs . Factories will be there . Town ships will be there .Electricity will be required . Transformers will be required . And here comes my business . I manufacture Radiators for both Power and Distribution Transformers . I lost it for now . But that’s not the end I feel.
Whenever I went to any states I used to feel shy , down and depressed . You know why ? The state Maharashtra , Gujrat are industrially much ahead of us currently . I am using this word ‘Currently’ very consciously , because I know that we have got the full potential to be the model state in a very short span of time .
Every where the discussion starts like this , “Kya kiya aap log ? TATA Motors ko SINGUR se bhaga diye ?”
Even I have to hear this kind of comments from Bihar and Orissa also: “Chakravarty ji aap idhar me factory lagalo . Aapke BANGAL me kuch nehi hone wala hai .”
But now I feel Determined.
Our State West Bengal does not belong to these goons. We are rich in culture and cultured politics was there, is here and will be here .
We are determined to wipe out this uncultured , unhealthy and hypocrite alliance of TMC , Cong , Maoist
( I don’t think they can spell Mao Zedong ) , GJM,KLO and Sushil Somaj .
We are feeling stronger each day by the statement of our Hon’ble Chief Minister Sri.Budhadev Bhattacharya that “ TATA motors will come back at Singur, and this time no one can stop us , we will not tolerate the destructive activities of any party” . We believe he will do it . Please go ahead Sir. We are with you .
So friend , stay in touch . Surely we will meet on that day when the first NANO will roll out from yours , mine and all of OURS SINGUR PLANT . We will fight till the end and WE WILL WIN .
Samya Chakravarty